তারিখ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

পোশাক শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে-এইচআরডব্লিউ

পোশাক শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে-এইচআরডব্লিউ
[ভালুকা ডট কম : ০৬ মার্চ]
বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শ্রমিক ছাঁটাই ও মিথ্যা ফৌজদারি মামলা তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশি ক্রেতা গোষ্ঠীকে অনুরোধ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তাছাড়া, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব রকমের ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে শ্রমিক নেতাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ বছর মধ্য জানুয়ারিতে বিক্ষোভের পর কাজ থেকে খেয়ালখুশিমতো কমপক্ষে ৭৫০০ শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাঠের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫৫১ জনের নামে এবং ৩০০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৯টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। দৃশ্যত অস্পষ্ট ও পাইকারী এসব অভিযোগের ফলে শ্রমিকরা খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তারের মুখে পড়েন। এসব অভিযোগে কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনের জামিন অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরিগুলোর উচিত মিথ্যা ফৌজদারি মামলা না করা এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত আন্দোলনকে দমন করতে গণগ্রেফতার বন্ধ করা।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো লিখেছে, মধ্য ডিসেম্বরে এবং আবার মধ্য জানুয়ারিতে ঢাকা, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে বেতন কাঠামোর পরিবর্তনের দাবিতে ৫০ হাজারের বেশি গার্মেন্ট শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। ডিসেম্বরেই শ্রমিক নেতারা বলেছেন, প্রকাশ্যে এবং গোপনীয়ভাবে তাদেরকে হুমকি দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

তাদেরকে বলা হয়েছে, যদি ৩০ ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে তাহলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে অথবা গুম হয়ে যেতে পারেন। এরপর যখন জানুয়ারিতে আবার বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়, তখন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময়ে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। পুলিশের এমন অ্যাকশনের প্রত্যক্ষদর্শী আটজন, বরখাস্ত হওয়া ১৪ শ্রমিক ও তিনজন ইউনিয়ন নেতার সাক্ষাৎকার নিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পর্যালোচনা করা হয়েছে বরখাস্ত করা শ্রমিক ও কারখানায় পোস্ট করা বরখাস্ত নোটিশ।

এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্রান্ড, যারা বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনে থাকে, শ্রমিকদের সম্মান ও সুরক্ষার জন্য তাদের দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশটির ৩৬০০ কোটি ডলারের গার্মেন্ট শিল্পের ক্রেতাদের বাংলাদেশেকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই