তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় বোর ধান মরে চিটা

ভালুকায় বোর ধান মরে চিটা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ এপ্রিল]
ভালুকা উপজেলার গোয়ারী গ্রামে ধলি বিলে বেশ কয়েকটি ক্ষেত সহ আশপাশের বোর ক্ষেতে ধান মরে সাদা হয়ে শিষ লটকে পরেছে। দুর থেকে দেখলে মনে হয় পাকা ধানে ক্ষেত ভরে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় চাল বিহিন সাদা চিটায় ভরা শিষ শুকিয়ে নিচের দিকে ঝুকে আছে।

আশপাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে জানাযায় মরা ক্ষেতটি উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আহসান হাবিব মোহনের। জুয়েল ও মেহেদী হাসান এসব জমি বর্গা চাষ করেছেন। কৃষকরা জানায় ক্ষেত গুলি প্রথমে পাতামরে যায় পরবর্তীতে চিটা হয়ে ধানের শিষ বের হতে থাকে সারা ক্ষেত জুরে। তারা নানা রকম ঔষধ ছিটিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। কিছু জমির ধানগাছ কেটে গরুর খাদ্য বানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জমির মালিক উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আহসান হাবিব মোহনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানাযায় প্রায় ৪ একর জমি তিনি ওই এলাকার জুয়েল ও মেহেদী সহ কয়েকজন কৃষকের কাছে বর্গা দিয়েছেন। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বর্গা চাষিরা তাকে জানিয়েছেন। ফসল হানির কারনে তিনি অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ছিটাল গ্রামে দুলাল মিয়ার ৭০ শতাংশ জমি পাতা মরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান স্থানীয় দোকান হতে বিভিন্ন ঔষধ ক্ষেতে দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। সাতেঙ্গা গ্রামের আবুল কাসেম পাহাড়ী জানান তার ক্ষেত আক্রান্ত হলে তিনি সময়মত ঔষধ দেয়ায় দমন হলেও একপাশে সম্পুর্ণ মরে গেছে। একই গ্রামের সবুজ মিয়া, কাজল, আলাল কারী, হরমুজ আলী সহ অনেকের জমি যারা ব্রীধান ২৮ জাতের আবাদ করেছেন সকলের ক্ষেতের ধান মরে চিটা হয়েছে। মল্লিকবাড়ী ব্রীজের নীচে দক্ষিন দিক সহ উভয়দিকে ধান নষ্ট হয়েছে।

অপরদিকে ভালুকা পৌর এলাকার বাজার সংলগ্ন খীরু নদীর পাড়ঘেষা সীরু খানের ১০ কাঠা, রোমানের ৮ কাঠা ভান্ডাব গ্রামে মনির হোসেন ১০ কাঠা ও একই গ্রামে রুপীর খালের পূর্বপাড়ে আবুল কালামের ৯ কাঠা ক্ষেত সহ অনেকের ক্ষেতের ধান মরে সাধা হয়ে গেছে। কারন হিসেবে তারা কিছু বলতে পারছেননা। দোকানদারদের পরামর্শে ঔষধ দিয়ে কোন ফল হয়নি। এছাড়া রাজৈ, উড়াহাটি, পনাশাইল, বিরুনিয়া, পানিভান্ডা এলাকায় অনেক কৃষকের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। এসব কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাযায় তারা সকলেই বোরোর মধ্যে ব্রীধান ২৮ জাতের আবাদ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে বোর আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া জনিত কারনে কিছু কিছু এলাকায় ব্লাষ্ট দেখা দিলেও ধানের মরগ ও বালাই নিয়ন্ত্রনে আছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই