তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ত্রিশালে এক মন ধানের মূল্যেও মিলছেনা একজন শ্রমিক

ত্রিশালের কৃষক দিশেহারা এক মন ধানের মূল্যেও মিলছেনা একজন শ্রমিক
[ভালুকা ডট কম : ১১ মে]
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এবার  বোরো আবাদে  বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা  দিশেহারা হয়ে পরেছে । এক মন ধান বিক্রি করেও একজন দিন মজুরের টাকা মিলছেনা। সরকার ধানের মূল্য  মন প্রতি একহাজার চল্লিশ টাকা নির্ধারন করে দিলেও কৃষকরা পাচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশত টাকা। দাধনের টাকা আবাদ জমির ধান বিক্রি করেও দেনা পরিশোধ করতে পারছেনা সাধারন কৃষকরা।

হাড়ভাঙ্গা খেটে খাওয়া মানুষগুলো সারাদিন ক্লান্তির পর মুখের মলিনতা যেন  জীবনেও অন্ধকার নেমে আসে। ধানীখোলা গ্রামের কৃষক বাদল মিয়া বলেন  কৃষি কাজ করে যেন জীবনে পাপ করেছি, সারা বছর কষ্ট করে ধার ধেনা করে ফসল ফলিয়ে পানির ধরে ধান বিক্রি করতে হবে কল্পনাও করিনি। ধান বাজারে নিয়ে গেলে পাইকারদের আচরনে মনে হয় আমরা চিটা ধান  নিয়ে এসেছি। অথচ বাজারে চালের দাম ১৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা মন।

চকপাচপাড়া গ্রামের কৃষক আতিকুল  বলেন, এবার ধানের যে বাম্পার ফলন হয়েছে অতিতে দু-চার বছরের মধ্যে এত ভাল ধান হয়নি। ঠিকমত ধানের দাম পেলে কৃষকরা তাদের দাদনের টাকা পরিশোধ করে পরিবার পরিজনকে নিয়ে হাসি খুশিতে দুবেলা ডাল ভাত খেয়ে বাচতে পারত।

কাঠাল  গ্রামের খবিরুজ্জামান  বলেন, আমাদের এক কাঠা জমির ধান বাড়িতে আনা পর্যন্ত আমাদের খরচ হচ্ছে পাচ হাজার টাকার চেয়ে বেশী। এক কাঠায় ধান পাই পাচ মন। বিক্রি হচ্ছে সাড়ে পাচশত টাকা ধরে ২৭৫০ টাকা। ২২৫০  টাকা আমাদের লোকসানের পাশাপাশি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমত আছেই। এখন সারাবছর সংসার চালাবই কেমনে আর ধারের টাকাই পরিশোধ করব কিভাবে তা জানিনা।

ধান ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, মিল মালিকরা আমাদের কাছ থেকে ৬০০ টাকার উপরে ধান নিচ্ছেনা। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ৫৫০ টাকা ধরে ধান ক্রয় করছি। মিল মালিকরা ধান ৬০০ টাকা দরে ক্রয় করলেও তারা চাল বিক্রি করছে প্রতি ১৫ শত থেকে দুই হাজার টাকা করে। মধ্যসুবিধাভোগীদের দৌড়াত্ব আর অসৎ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেটের কারনে অসহায় সহজ সরল কৃষকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করেও চোখের জ্বলে বুক ভাসাচ্ছে।

যেখানে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি থাকার কথা সেখানে ধান ঘরে নিয়েও যেন পানির দরে ধান বিক্রি করে ধারদেনা শোধ করতে পারছেনা । এক মন ধান বিক্রি করেও মিলছেনা একজন শ্রমিকের মূল্য ।  এক জন ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য ৭শ থেকে ৮শত টাকা ।ত্রিশাল  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে যানাযায় এবার ধানের লক্ষমাত্রা  ১লক্ষ ১৭ হাজার ৭শত ৭৪মেট্রিকটন । লক্ষমাত্রা পেরিয়ে গেলেও ধানের দাম কম থাকায় কৃষকরা দিশেহারা।কৃষকরা পারছেনা তাদের দাধন দেনা পরিশোধ করতে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই