বিস্তারিত বিষয়
সখীপুরে উৎপাদিত আম নিয়ে বিপাকে চাষিরা
সংরক্ষনাগার না থাকায়
সখীপুরে উৎপাদিত আম নিয়ে বিপাকে চাষিরা
[ভালুকা ডট কম : ৩০ জুন]
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অন্য বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত আমের বাজার মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।। প্রতিবছর আম মৌসুমের শুরুতেই ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাদামতলী, সদরঘাটসহ দেশের অন্যান্য মোকাম থেকে আগাম বাগান কিনে নেন। আমের সংরক্ষনাগার না থাকায় পঁচনের ভয়ে চাষীদের বাজারের চেয়ে অর্ধেক দামে আগাম বাগান বিক্রি করতে হচ্ছে।
সংরক্ষনাগার থাকলে চাষিরা তাদের আম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে আরও অধিক লাভবান হতেন। এছাড়াও উৎপাদিত আম বিপণন ব্যবস্থা না থাকায় লাভের বড় অংশ লোফে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। বিপণনের স্বার্থে কানসাটের মতো আমের বাজার স্থাপন করা দরকার। দিন দিন আম বাগান বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যাপ্ত আমের ফলন হওয়ায় আম চাষিদের কল্যাণে দ্রুত একটি আম গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রদি দাবি জানান বাগান মালিকরা। কৃষি বিভাগের জোর তৎপরতা এবং স্থানীয় আম চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষণের কারণেই এ উপজেলার আম চাষিরা বিষমুক্ত আম পাকানোর চরম সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । আম চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় দিনদিন আমচাষীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে হারে আমচাষে কৃষকরা এগিয়ে আসছেন অল্পদিনেই সখীপুর চাপাইনবাবগঞ্জকেও ছাড়িয়ে যাবে ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উপজেলার ২০ জন চাষীকে ১০০ টি করে আ¤্রপালি চারা দিয়ে পরীক্ষামূলক প্রদর্শণী প্লট করে দেন। তিন বছরের মাথায় ওইসব প্রদর্শণীতে আমের ব্যাপক ফলন পেতে থাকে চাষীরা। এর পর থেকেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ব্যাক্তি উদ্যোগে আম চাষ। এ উপজেলায় বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫’শ আমচাষী ৭’শ একর জায়গা জুরে আম চাষ করছেন। এছাড়া প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় কমবেশী আম গাছ রয়েছে। এ সব আম বাগান থেকে চলতি মৌসুমে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬০০ মে.টন। উৎপাদিত আমের বাজার দর হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। এখানে দুর্লভ বারি-৪ আ¤্রপালি ছাড়াও মল্লিকা, পালমার, পাল্লুতান, মহানন্দা, গোপালভোগ, গোপাল খাস, প্রাপ্তি, দশোরী, বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি, ফজলি, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগসহ প্রায় ৩৫ জাতের আম চাষ হচ্ছে। তবে সখীপুরের মাটি আ¤্রপালি’র (বারি-৪) জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগি বলে আম চাষিরা জানান। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এখানকার আম বেপারীদের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে জেলা শহর টাঙ্গাইল, বিভাগীয় শহর ঢাকা, ময়মনসিংহসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
বাগান থেকে পাইকারীভাবে আম বিক্রির চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে চাষিকে সখীপুর পৌরশহরের উপজেলা গেইটের, মুখতার ফোয়ারা চত্ব্র, কাচা বাজার, জেলাখানা মোড়, কচুয়া, বড়চওনা ও নলুয়া বাজারে আম বিক্রির গোডাউন তৈরি করে আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। ক্রেতারা এসব দোকান থেকে বাগান থেকে উঠানো টাটকা, শত ভাগ ফরমালিন মুক্ত আম দেদারসে লাইন ধরে কিনে নিচ্ছেন। যারা বাড়ির ওঠোনে ছোট ছোট আম বাগান করেছেন তারাও পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে এসে আম বিক্রি করছেন। প্রকার ভেদে এ আম ৫০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটির গুণাগুন অনুসারে সখীপুর আম উৎপানের জন্য উপযোগী এয়াড়াও অন্য ফসলের চেয়ে আম উৎপাদন অধিক লাভজনক হওয়ায় চাষীরা দিনদিনই বাগান বাড়াচ্ছেন। এতে ইতো মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছে বহু অস্বচ্ছল পরিবার।
উপজেলার অভিজ্ঞ আম চাষি আম দেলোয়ার বলেন, সখীপুরের মাটি ও পরিবেশ আম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি বলেন- আমের সংরক্ষনাগার থাকলে চাষিরা আরও অধিক লাভবান হতেন। এছাড়াও উৎপাদিত আম বিপণন ব্যবস্থা না থাকায় লাভের বড় অংশ লোফে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। আম চাষিদের কল্যাণে দ্রুত একটি আম গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিও দাবি জানান।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সখীপুর পাহাড়িয়া অঞ্চল হওয়ায় এখানকার মাটিতে এক ধরণের খনিজ উপাদান রয়েছে যা আম উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং আম মিষ্টি’র জন্য সহায়ক। তিনিও আমের সংরক্ষনাগার গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।#
সতর্কীকরণ
সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।
কমেন্ট
কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- রাণীনগরে সরকারের ঘরে ধান দেয়নি কৃষকরা [ প্রকাশকাল : ১৭ মার্চ ২০২৪ ০১.০৮ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে দামী মসলা জিরার বাম্পার ফলন [ প্রকাশকাল : ১৩ মার্চ ২০২৪ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খনন [ প্রকাশকাল : ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৮.০০ অপরাহ্ন]
- তজুমদ্দিনে ধানের চারা রোপন কাজের উদ্বোধন [ প্রকাশকাল : ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- যন্ত্রে ধানগাছ রোপণ করছে রাণীনগরের কৃষক [ প্রকাশকাল : ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ০৪.০০ অপরাহ্ন]
- কালিয়াকৈরে মাছ চাষে ফিশারিজের সফলতা [ প্রকাশকাল : ০৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ [ প্রকাশকাল : ০২ জানুয়ারী ২০২৪ ০৩.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ [ প্রকাশকাল : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত [ প্রকাশকাল : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১.০০ অপরাহ্ন]
- নওগাঁর মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল [ প্রকাশকাল : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭.৩১ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত [ প্রকাশকাল : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ০১.৩০ অপরাহ্ন]
- নান্দাইলে নগদ অর্থ ও উপকরণ বিতরণ [ প্রকাশকাল : ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে জি-৯ কলা চাষে সাড়া ফেলেছে সুফলা [ প্রকাশকাল : ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৪.০০ অপরাহ্ন]
- রাণীনগরে কৃষি প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ [ প্রকাশকাল : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০২.০০ অপরাহ্ন]
- কালিয়াকৈরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ [ প্রকাশকাল : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০১.৪৪ অপরাহ্ন]