তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক প্রদর্শিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনডেমনিটি’ নাটক প্রদর্শিত
[ভালুকা ডট কম : ২৭ সেপ্টেম্বর]
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাািডজ বিভাগের পরিবেশনায় আলোচ্য নাটকটি ওয়ান বাংলাদেশ এর প্রযোজনায় ও প্রফেসর ড. মাহবুবের  সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘ইনডেমনিটি’ নাটকটি ‘চির উন্নত মম শির’-এর বেদীতে বৃহস্পতিবার বিকালে প্রদর্শিত হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জঘন্যতম কালো অধ্যায় নিয়ে রচিত নাটক ‘ইনডেমনিটি’। নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা, নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মো. কামাল উদ্দীন। ইনেডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঘৃণ্যতম কালো আইন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ঘাতকরা জবাবদিহিতা থেকে বাঁচার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সাথে পুনরায় কুচক্রে লিপ্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে ঘাতকদের প্ররোচনায় ও ক্ষমতার লোভে রক্ষাকবজ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন খন্দকার মোশতাক। মূলত এই অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত কারও বিরুদ্ধে কোর্ট বা আদালতে কোনো মামলা করা যাবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ট্রেজারার ড. মো. জালাল উদ্দিন, প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক ম-লী,কর্মকর্তা , কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও না এবং রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সাথে জড়িত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হবে। ১৯৭৫ সালের পর ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল ইনেডেমনিটি অধ্যাদেশকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া হয়। ফলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। অতঃপর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সংসদে ইনডেমনিটি বিল বাতিল করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার কার্যক্রম এই হচ্ছে নাটকের মূল বিষয়বস্তু।

এ প্রসঙ্গে নাটকের নির্দেশক ড. মো. কামাল উদ্দীন বলেন, ‘ইনডেমনিটি’ কালো অধ্যায়টিকে পথনাটক আকারে উপস্থাপন করেছি। নাটকের উদ্দেশ্য অনুাযায়ী অনেকগুলো সাঙ্কেতিক নাম ও ঘটনার উল্লেখ আছে এ নাটকে। অভিনয়ে বর্ণনাত্মক ও চরিত্রাভিনয় উভয় রীতির সংমিশ্রণ রয়েছে। কাজেই সঙ্গীত, বাদ্য, নৃত্য, সংলাপ হচ্ছে এই নাটকের প্রাণ। আমি আশাকরি, এই নাটকের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম বিশেষত আমাদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ইনডেমনিটি নামক কালো অধ্যায়টি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণ লাভ করবে। ভালো লাগছে আমরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুখ্যাত দায়মুক্তি আইন বিষয়ক নাটক ইনডেমনিটি উপস্থাপন করে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরেছি।

ট্রেজারার মহোদয় বলেন, ইনডেমনিটি, এই কালো আইনের অভিনয় দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়টি অনুধাবন করেছে। সেই সাথে ইনডেমনিটি বিল সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়েছে বলে আমি মনেকরি। ইনডেমনিটি নাটকের তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর বোরহান মাহবুব নাটকের নির্দেশক, কলাকুশলী ও দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।নাটকে অভিনয় করছেন উক্ত বিভাগের এম এ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অভিনয় শাখার শিক্ষার্থীরা।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই