তারিখ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে খাদ্যগুদাম রাস্তা খানা-খন্দে ভরা,ঘটছে দুর্ঘটনা

রাণীনগরে খাদ্যগুদাম রাস্তা খানা-খন্দে ভরা,প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা
[ভালুকা ডট কম : ১৫ অক্টোবর]
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একমাত্র খাদ্যগুদাম রাস্তা খানা-খন্দে ভরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই রাস্তা দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় ঢালাই উঠে গিয়ে রড বের হওয়ায় রাতের আঁধারে পথচারীরা চলাচল করার সময় পড়ছেন দুর্ঘটনায়।

রডের আঘাতে কারো পা নষ্ট হচ্ছে আবার কেউ গর্তের পানিতে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। এছাড়াও ছোট-বড় ট্রাক কিংবা ভ্যানগাড়ী ধান, চাল কিংবা গম নিয়ে খাদ্যগুদামে প্রবেশ করার সময় উল্টে যাচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে। খাদ্যগুদাম জনগুরুত্বপূর্ন একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সবসময় ছোট-বড় ট্রাক কিংবা ভ্যানগাড়ী চলাচল করেই। তাই অতিদ্রুত এই রাস্তাসহ খাদ্যগুদামের সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় উৎপাদিত ধান, গম, চাল সংরক্ষণ করার জন্য আশির দশকে রাণীনগর বাজারের অনুক’লে স্থাপন করা হয় রাণীনগর এলএসডি (খাদ্যগুদাম)। বর্তমানে এই খাদ্যগুদাম অনেক সমস্যায় জর্জড়িত। বিশেষ করে গুদামে প্রবেশের রাস্তার বেহাল দশা। খাদ্যগুদামের চারদিকে অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলায় গুদামে প্রবেশ করার জন্য প্রশস্ত কোন রাস্তা নেই। যার কারণে একমাত্র সরু রাস্তা দিয়ে গুদামে ট্রাক চলাচলের সময় সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। এছাড়া গুদাম ঘরগুলো দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে জরাজীর্ন অবস্থা। ঘরের ছাদ ও দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তার। গুদামের আবাসিক ভবনের অবস্থা খুবই নাজুক। এছাড়াও গুদামে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পাহারাদার এবং তাদের থাকার কোয়ার্টার।

স্থানীয় আব্দুর রহিম, বিপ্লব, আব্দুল কুদ্দুসসহ অনেকেই বলেন পুরো খাদ্যগুদামের অবস্থা খুবই খারাপ তার মধ্যে গুদামে প্রবেশের রাস্তা এতো বেশি পরিমাণ খারাপ তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আমাদের বাসা গুদামের পাশে হওয়ায় দিনে এবং রাতের আঁধারে এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। মাঝে মধ্যে রাস্তার বড় বড় গর্তের মাঝে পড়তে হয়, ঢালাই উঠে বের হওয়া রডের আঘাতে পা নষ্ট হচ্ছে। বড় বড় ট্রাকের কারণে পাশ দিয়ে যাওয়া পানি নিস্কাশনের ড্রেন নষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগ আরো চরম হয়েছে। অতিদ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি রাস্তা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন আমি রাস্তাটির বেহাল দশার কথা জানি। উপজেলা প্রশাসন যদি চায় তাহলে আমি আমার পরিষদের পক্ষ থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করার চেষ্টা করবো। শুধু এই রাস্তাই নয় গুদামের অনেক জায়গা বেদখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধার করে উপজেলায় আধুনিক মানসম্মত একটি গুদাম নির্মাণ করার জন্য সরকারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাণীনগর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা: শরিফুল ইসলাম (লিটন) বলেন, পুরো খাদ্যগুদামের অবস্থা খুবই নাজুক ও করুন। বিশেষ করে গুদামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা আরো করুন ও বেহাল। দীর্ঘদিন এই রাস্তার কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই এই রাস্তায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষলে বহুবার এই রাস্তার বেহাল দশার কথা বলেছি কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন আমি রাস্তাসহ গুদাম একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। পুরো খাদ্যগুদামেরই অবস্থা নাজুক। তবে বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য আমি অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই