তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার সেই সাব রেজিস্ট্রারের দুদক মামলায় জামিন

ভালুকার সেই সাব রেজিস্ট্রারের দুদক মামলায় জামিন
[ভালুকা ডট কম : ০১ ডিসেম্বর]
মৃত ব্যক্তি ও বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তির নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়া দলিলদাতা সাজিয়ে কমিশন গঠনের মাধ্যমে তৎকালীন ময়মনসিংহের ভালুকার সাবেক সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম ৯ কোটি টাকা আত্নসাত করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ  সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধর বাদী হয়ে সাব রেজিস্ট্রার,দলিল লেখক ও জমি গ্রহিতার নামে দুটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তী কালীন জামিন নেওয়ার পর আজ রোববার ময়মনসিংহের জেলা দায়েরা জজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়,নয় কোটি টাকার আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম, অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম সুজন ও  আবু রাসেল চৌধুরী এই তিন ব্যক্তির নামে মামলাটি দায়ের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ  সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন সূত্রধর ।সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম তিন মাস আগে ভালুকা থেকে যশোরের ঝিনাইদহ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বদলি হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভালুকার সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম, অফিসের দলিল লেখক সিরাজুল ইসলাম সুজন এবং ঢাকা ব্যবসায়ী আবু রাসেল চৌধুরীর যোগসাজশে প্রতারণা করে নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের এক মৃত ব্যক্তি ও বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তির নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়া দলিল দাতা সাজিয়ে কমিশনের মাধ্যমে ২০১৭ সালে একটি ভুয়া দলিল রেজিস্ট্রি করেন। এতে প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের জমি জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন তারা। এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জমি আত্মসাৎ ও দলিল জালিয়াতির সত্যতা পায় দুদক। এই ঘটনায় ১১ই সেপ্টেম্বর বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।

আরও জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮সেপ্টেম্বর ভালুকা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন জাহাঙ্গীর আলম। যোগদান করার পর তিনি সাব কবলা,হেবা,বন্ধকি,দানপত্রসহ সব ধরণের রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে জমির মূল্যের শতকরা ৫শতাংশ হারে ও উপর পিফি নামে প্রতি দলিলে ২শত টাকা করে সেরেস্তা ফি ধার্য করে দেন। সেই টাকা অগ্রিম আদায়ের জন্য অফিসে দু’জন কর্মচারী অফিস সহকারী আবুল হাশেম ও মোহরার আন্বিয়া খাতুনকে নিযুক্ত করেন। কোনো দলিল লেখক ধার্যকৃত সেরেস্তা ফি কম দিতে চাইলে অফিস সহকারী প্রতিস্বাক্ষর না করে দলিল ফেরত পাঠিয়ে দিতো। এ নিয়ে ওই সময় দলিল লেখক ও জমি ক্রেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। লাইসেন্স হারানোর ভয়ে কোন দলিল লেখক প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ঘটনায় ২০১৭সালে ২৬শে সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় সাবরেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম দলিল মূল্যের শতকরা ৫ শতাংশ হারে সেরেস্তা ফি নামে প্রকাশ্যে দলিল লেখকদের মাধ্যমে দলিল গ্রহীতার কাছ থেকে অবাধে ঘুষ গ্রহণ বন্ধের জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। তারপরও  ওই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হয়নি।

চলতি বছরের ৫ মে সাবরেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার কাদিগড় মৌজার ১৭ কোটি টাকা দামের সাড়ে নয় একর জমি আমমোক্তা দলিল করেন। অথচ ওই জমির দুই মালিক ১৪ বছর আগে সৌদি আরবে মারা যান। মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে মৃত ব্যক্তির নামের জমির ভূয়া দাতা সাজিয়ে ওই দলিল নিবন্ধন করেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। পরে অবশ্য বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের চাপের মুখে ওই দলিল বাতিল করেন তিনি।

ওই জমির প্রকৃত মালিকের ছেলে কামরুজ্জামান জানান, সাব রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম জামিন পাওয়ায় এই মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেন।=দুদকের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ রুবেল হোসেন জানান,হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তী কালীন জামিন নেওয়ার পর ময়মনসিংহের জেলা দায়েরা জজ আদালদত তাকে চার্জসীটের আগ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই