নান্দাইলে ধর্ষন ঘটনা ধামাচাপাঁর চেষ্টা,অবশেষে থানায় মামলা  
[ভালুকা ডট কম : ০২ ডিসেম্বর]
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নে এক ধর্ষন ঘটনায় ধর্ষক ও ধর্ষিতা উভয় পরিবারের সাথে দফায় দফায় সালিস দরবারী অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহন করার লক্ষ্যে দীর্ঘ ৭ দিন ধর্ষিতাকে থানায় আসতে না দিয়ে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপাঁ দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে সমাধান না হওয়া ধর্ষিতাকে থানায় পাঠায় মাতাব্বরগণ।

এ ঘটনায় রোববার উক্ত ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের ধর্ষনের শিকার তরুণী (১৯) বাদী হয়ে একই গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র আশরাফুল ইসলাম (২০) এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। সোমবার ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসেম জানান, ঘটনাটি সালিসের কারণে ধর্ষনের আলামত হয়তো কিছুটা নষ্ট হয়েছে তবে আসামী আশরাফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জানাযায়, অভিযুক্ত ধর্ষক আশরাফুল ইসলাম গত দুই বছর ধরে তরুণীকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত সহ অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২২ নভেম্বর উক্ত তরুণী ঢাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে তার সহকর্মীকে বিয়ে করে নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসে। পরদিন বাড়ির পাশে একটি ইসলামী সভা থেকে উক্ত তরুণী একা আসার পথে আশরাফুল ইসলাম তার পথ রোধ করে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি বিলের পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি তরুণী তার পরিবারকে জানালে বিচারকারীরা বিষয়টি ফায়সালা দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় পাঠায়।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা জানায়, এ ঘটনায় আমার কন্যার জামাতা চলেগেছে এবং ফোন করে জানায় আমার মেয়েকে নিয়ে ঘর সংসার করবেনা। এখন আমার মেয়ের কি হবে? স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম মাসুদ জানান, আমরা চেষ্টা করছিলাম ঘটনাটির মীমাংসা দিতে। কিন্তু ওই পক্ষ সালিসে আসে নাই। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় পাঠিয়েছি।#

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।