তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবণতা, প্রকল্প অর্থায়ন নিয়ে শঙ্কা

অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবণতা,আগামীতে প্রকল্প অর্থায়ন নিয়ে শঙ্কা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ জানুয়ারী]
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের এক বছর পার হয়েছে। বিদায়ী ২০১৯ সালে গতানুগতিক পথে চলেছে দেশের অর্থনীতি। ছিলো না নতুন কোন চমক। সেভাবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রগতি আসেনি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বড় ধরনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে রাজস্ব আয়ে। রেমিট্যান্স আয় ছাড়া প্রায় সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে নেতিবাচক প্রবণতা। অর্থনীতির অন্তত ১৩টি সূচক এখন নিম্নমুখী।

মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রত্যয়ে, আগের দশ বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি সরকারের। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থনীতির প্রাণসঞ্চার করা সূচকগুলোর মধ্যে প্রধান সূচকগুলো রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। রাজস্ব ও রফতানি আয় কমেছে; কমে গেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।ভেঙে পড়ার অবস্থায় আমদানি বাণিজ্য, কমে গেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি, পুঁজিবাজারের বেহাল দশা; ঋণ পাচ্ছে না বেসরকারি খাত। চাপে পড়েছে ব্যাংকখাত, বন্ধ হচ্ছে গার্মেন্টস, সংকুচিত হচ্ছে কর্মসংস্থান। মানুষের আয় না বাড়লেও মূল্যস্ফীতি তথা জিনিসপত্রের মূল্য বেড়েছে।বিপরীতে বেড়েছে সরকারের ব্যাংক ঋণ, বেড়ে গেছে ব্যাংক ঋণের সুদ হার, বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও। বাড়ছে ঋণ পুনঃতফসিলের ঘটনা। ব্যাংকখাতের পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, সরকারি বেসিক ব্যাংক তার কর্মকর্তাদের বেতন দিতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির চাকা শ্লথ হয়ে গেছে। সবক্ষেত্রেই একটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এখন নির্দিষ্ট সময়ে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে বড় বড় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, সেখানে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। তাই সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমৃদ্ধ দেশ গঠনের পূর্বশর্ত টেকসই অর্থনীতি। এটি নিশ্চিতে দরকার বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান তৈরি, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। এজন্য যথাযথভাবে মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং শক্ত হাতে দুর্নীতির রাশ টেনে ধরতে হবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ। ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাওয়ায় বেড়েছে রেমিট্যান্স। তবে নেতিবাচক ধারায় রপ্তানিখাত। এ সময়ে আয় হয়েছে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। তবে রাজস্ব আয় নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে সরকারের। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর বর্তমানে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অন্যান্য বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই