তারিখ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

অর্ধশত বছরেও নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ,নৌকাই ভরসা

অর্ধশত বছরেও নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ,নৌকাই একমাত্র ভরসা
[ভালুকা ডট কম : ১৮ ফেব্রুয়ারী]
নওগাঁর রাণীনগরের রক্তদহ বিলে প্রায় অর্ধশত বছরেও নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। যার কারণে রক্তদহ বিল বেষ্টিত প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। রক্তদহ বিলটি রাণীনগর ও বগুড়া জেলার আদমদীঘি এই দুই উপজেলার সীমানায় অবস্থিত হলেও সিংহভাগই পড়েছে রাণীনগর উপজেলার মধ্যে। এই বিলের দু’পারে প্রায় ছোট-বড় ১০গ্রাম অবস্থিত। এই গ্রামগুলোর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে প্রতিনিয়তই রাণীনগর উপজেলা সদর ও আদমদীঘি-সান্তাহারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে প্রয়োজনের তাগিদে যেতে হয়।

এই বিল পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে যেতে যে পরিমান সময় ও অর্থ খরচ করতে তার চেয়ে দ্বিগুন সময় ও অর্থ নষ্ট হয় অন্য এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে। তাই এই সব বিল এলাকার মানুষ খেয়া ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে নৌকা করে পার হয়ে এই রক্তদহ বিল দিয়েই চলাচল করছে আসছে বছরের পর বছর। তবে আশার বানী এই যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময় পর বিল এলাকা পরিদর্শন করে মাটি পরীক্ষাসহ প্রথম পর্যায়ের সকল কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে। শুধুমাত্র এখন চ’ড়ান্ত ডিজাইন হওয়ার পর বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে এলাকাবাসীরা।

রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে পূর্ব-উত্তর রাণীনগর-আবাদপুকুর প্রধান সড়ক থেকে বেলঘড়িয়া গ্রামের ভিতর দিয়ে বোদলা হয়ে রক্তদহ বিলের মধ্য দিয়ে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্দিরা, সান্তাহার ও নওগাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে রাণীনগর উপজেলার বোদলা, পালশা, বিলকৃষ্ণপুর, সরকাটিয়া, তেবারিয়াসহ রক্তদহ বিল পারের প্রায় ১০গ্রামের মানুষ চলাচল করে। দুঃখের বিষয় রক্তদহ বিলের মধ্যে সান্দিরা-বোদলা সড়কের মধ্য দিয়ে খাল প্রবাহিত হওয়ায় দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভাগ হয়ে পড়েছে। ফলে পারাপারের জন্য দুই পাশের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নৌকার অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘন্টা  বসে থাকতে হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন গ্রামে চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে এই খেয়া ঘাটের নৌকা।

রাণীনগর উপজেলার বোদলা গ্রামের মুকুল হোসেন, সাইদুর রহমান মুহুরী বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে দুই পারের মানুষ চলাচল করতে চরম কষ্ট হয়। একটি ব্রিজের অভাবে বিশেষ করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত কলেজ করতে পারে না। জন্মের পর থেকে শুনে আসছি যে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে কিন্তু আজ জীবনের শেষ প্রান্তেও এসে আমাদের ভাগ্যে জুটল না একটি ব্রিজ। আমি জানি না আমাদের আগামী প্রজন্মদের জীবনও কি এভাবেই কেটে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কন্যা শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে শহরের সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন তাহলে আমাদের এই বিলে একটি ব্রিজ কবে হবে?

রানীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, ৯৫ মিটার ব্রিজের জন্য প্রস্তাবপত্র পাঠানো হয়েছিলো। ইতিমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ মাটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। আশা করছি এরপর খুব তাড়াতাড়ি দরপত্র সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই