তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

তজুমদ্দিনে উপবৃত্তির টাকা আত্নসাৎ

তজুমদ্দিনে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে শিক্ষক ও বিকাশ কর্তৃপক্ষের প্রতারণা
[ভালুকা ডট কম : ০৯ মার্চ]
ভোলার তজুমদ্দিনে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্নসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও বিকাশ কর্তৃপক্ষ। জালিয়াতির কারণে উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। তজুমদ্দিনে এ বছর কতজন শিক্ষার্থীকে কত টাকা উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে এ তথ্য পাওয়া যায়নি শিক্ষা অফিসে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, যে সব উপজেলায় সেকায়েপ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে সে সব উপজেলায় সরকার ২০১৭ সাল থেকে এসইডিপি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৪০ লক্ষ শিক্ষার্থীকে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক স্কুল ও ১৫টি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার জন্য বিকাশের কর্মিদের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা হয়। কিন্তু পরবর্র্তীতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও বিকাশের দায়িত্বে থাকা কর্মিরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে সুবিধামত মোবাইল নম্বর দিয়ে একাউন্ট চালু করেন। ফলে অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়। তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা অফিস ও বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে অন্য উপজেলায় নিয়ে হয়রানি করা হয়। এভাবে উপজেলার ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২শতাধিক শিক্ষার্থীর বিকাশ একাউন্টে তাদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিভাবক ইউসুফ জানান, শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় ঠিক রেখে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। অভিভাবক লোকমান হোসেন তালুকদার বলেন, আমার সন্তানের উপবৃত্তির একাউন্টের জন্য স্কুলে ০১৭১৭২০২২১৬ এই মোবাইল নম্বরটি দিলেও পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে ০১৯৬০৭২৮৬৯৯ টি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজিলাতুন্নেছা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) দিলীপ কুমার দাস বলেন, একাউন্ট খোলার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিকাশ কর্মিদের কাছে জমা দিয়েছেন। কিভাবে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হয়েছে তা জানা নেই।

শিবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করার কারণে আমার প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে একই রকম ঘটনা ঘটেছে। বিকাশের ভোলা জোনের হাউজ ম্যানেজার মোঃ সজিব বিকাশে শিক্ষার্থীদের নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে টাকা না পাওয়ার বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আলী বলেন, দায়িত্ব প্রাপ্ত বিকাশ কর্তৃপক্ষ এসইডিপি প্রকল্পে উপবৃত্তির জন্য একাউন্ট খোলার কোন তথ্য শিক্ষা অফিসে জমা দেয়নি। তাই আমাদের কাছে উপবৃত্তি সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

শিক্ষাঙ্গন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই