তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

রাণীনগরে বৃদ্ধি পাচ্ছে গমের আবাদ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক ফলনশীল গমের আবাদ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
[ভালুকা ডট কম : ১৩ মার্চ]
রবি শস্যের মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক আবাদ হচ্ছে গম।  বিগত সময়ে গমের আবাদ কমলেও নওগাঁর রাণীনগরে বর্তমানে কৃষকরা আবারও গমের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। ধান চাষে বার বার লোকশান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে এই লাভজনক আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করছেন। বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় গম চাষে লাভের আশা করছেন গমচাষীরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলার ৭শত ৩০হেক্টর জমিতে বারিগম-২৮,২৯,৩২ ও ৩৩ জাতের অধিক ফলনশীল গমের চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি মাঠেই বর্তমানে গমের সোনালী পাঁকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোন কোন জমিতে এখনো কিছু গমের শীষ কাঁচা রয়েছে। তবে আগামী ১৫দিন পর থেকে জমি থেকে কৃষকরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন। রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। লাভজনক এই গম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরন বিনামূল্যে বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে উপজেলা কৃষি অফিস।

চকমনু গ্রামের গমচাষী জুয়েল, শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। যদি আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুক’লে থাকে ও গমের বাজার ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন। গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না বলে খরচ অনেক কম হয় এবং কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও  গমে পোকা-মাড়কের আক্রমনও তেমন হয় না। গমের শীষ নেওয়ার পর গমের গাছ জ্বালানী ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সবমিলিয়ে গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম বলেন চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ চলতি মৌসুমে গমে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হয় নাই। গম চাষে কম পরিশ্রমসহ খরচ অনেক কম হয় তাই গম চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। এছাড়াও গম চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমন ভাবে গম চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে ভালো ভাবে আউশ ধান কিংবা অন্য আবাদ করতে পারবেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা বিঘা প্রতি প্রায় ১৬মণ হারে ফলন পাবেন বলে আমি আশা করছি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই