তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

করোনার কারণে তৈরি পোশাকের ২ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল

করোনার কারণে তৈরি পোশাকের ২ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল
[ভালুকা ডট কম : ১৮ মার্চ]
করোনাভাইরাসের কারণে যেমনটি আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দেশের প্রধান বৈদেশিকমূদ্রা উপার্জনকারী খাত তৈরি পোশাক শিল্পে বিপদ আসবে, শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য হলো। ২০টি পোশাক কারখানার ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১৪৬ কোটি টাকা সমমূল্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে।

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ মঙ্গলবার এই কারখানাগুলোর কাছ থেকে ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছে। পাশাপাশি কারখানাগুলোর ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

দেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডায় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গ্যাপ, নাইকি, ইন্ডিটেক্স, কলাম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যার, রিফোরমেশনের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন দেশে তাদের বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করেছে।

পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের কাছ থেকে চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত বা  বাতিলের খবর আসছে। নতুন ক্রয়াদেশের বিষয়ে ক্রেতারা জানিয়েছেন, বিদেশে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ। তাই বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে নতুন ক্রয়াদেশ দেয়া যাচ্ছে না। এমনকি ক্রয়াদেশের আগের পরিকল্পনা নিয়ে তারা নতুন করে ভাবছে।

পোশাকশিল্পের কয়েকজন উদ্যোক্তা গণমাধ্যমকে জানান, পোশাকের চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল করার তালিকায় রয়েছে বড় ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে সিঅ্যান্ডএ, জারা, পুল অ্যান্ড বেয়ার, বেবি শপ, ব্ল্যাকবেরি, প্রাইমার্ক উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পোশাক কেনে এমন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এইচঅ্যান্ডএম। সুইডেনভিত্তিক এই খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ডের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইথিওপিয়ার আঞ্চলিক প্রধান জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা চলমান ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত করিনি। তবে সামনের দিনগুলোতে যেসব ক্রয়াদেশ দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে আমরা পরিবর্তন আনছি। পরিমাণ কমাচ্ছি। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ব্র্যান্ডগুলোর আউটলেটে বিক্রি নেই।

জিয়াউর রহমান আরও বলেন, সপ্তাহ দুয়েক ধরে ইউরোপে করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে। চীনের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, মাস দুয়েকের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না–ও হতে পারে। সেটি হলে পোশাক রপ্তানিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। এই বিপর্যয় কাটাতে হলে সরকার, ব্র্যান্ড, বিজিএমইএ ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কৃষি/শিল্প বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই