তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

সর্বোচ্চ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩,১৯০ জন,মৃত্যু ৩৭

করোনাভাইরাস: মৃত্যু ৩৭,সর্বোচ্চ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩,১৯০ জন
[ভালুকা ডট কম : ১০ জুন]
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা চার অংকের ঘরে পৌঁছে গেছে। আজ সকাল আটটায় সমাপ্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যুসহ এ যাবত মোট ১০১২ জনের মৃত্যুর হিসাব দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ১৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪ হাজার ৮৬৫ জনে।

আজ (বুধবার) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশে বর্তমানে সক্রিয় ৫৬ ল্যাবে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৬ হাজার ৯৯৪টি। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৬৫টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫০৭টি।গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ২৫ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের সাতজন, সিলেটে একজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে দুজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মারা গেছেন।এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ১২ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) অধ্যাপক ডা. জলিলুর রহমান খান মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ডা. জলিলুর রহমান তিন দিন ধরে ইমপালস হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার দুপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিস) ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন। দেশে এ পর্যন্ত এক হাজার ১০৮ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন শুরু হয়েছে। এই লকডাউন চলবে ১৪ দিন। এ কারনে এ এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ ছোট এই এলাকায় অন্তত ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপ্যেআরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দারা বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের মানুষ ভেতরে ঢুকতে পারবেন না। এলাকায় আটটি প্রবেশপথের মধ্যে মাত্র একটি (গ্রিন রোড, আইবিএ হোস্টেলের পাশে) খোলা থাকবে।

লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে কেনা যাবে যা বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এটুআই ও ই–ক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে। হোম ডেলিভারির জন্য একদল প্রশিক্ষিত কর্মী থাকবেন। যাঁদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রী কিনতে চান, তাঁদের জন্য নির্ধারিত ভ্যানে শাক-সবজি ও মাছ-মাংস বেচাকেনার সুবিধা থাকবে। এ জন্য ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ঢুকতে দেওয়া হবে। কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের তালিকা অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হবে। রোগীদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু থাকবে। এলাকার নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

লকডাউন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে। জরুরি সেবার কর্মীরা এলাকায় ঢুকতে পারবেন। থাকবে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দল।

লকডাউন বাস্তবায়নে নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ, এটুআই, ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ই–ক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরও থাকছে। এর মধ্যে ত্রাণের জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা যাবে।

হাসপাতালে অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ ও মুল্য নিয়ন্ত্রণে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন।আজ (বুধবার) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে স্বাস্থ্যসচিব, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআই'র পরিচালক বরাবরে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ প্রাপ্তির পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে এবং দিনে দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু জনসংখ্যার আধিক্যে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল, তার উপরে করোনার মহামারী দুর্যোগে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ নতুনভাবে সংক্রমিত হচ্ছে তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত মেডিকেল অক্সিজেন এবং ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এমন কি ওষুধগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষকে আরো বেশী দুর্বিষহ করে তুলেছে।

তিনি বলেন, করোনার মহামারী রোধে সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণীর মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই দুর্যোগকালে ওষুধের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। ঔষধের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষকে অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ সবের প্রতিকার চেয়েই এ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

জাতীয় বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই