তারিখ : ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক

ভালুকায় মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি গার্মেন্টস শ্রমিক
[ভালুকা ডট কম : ১১ জুন]
ভালুকা উপজেলায় কয়েকটি গার্মেন্টস-এ করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। নতুন করে আরও ১৮ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনই কারখানা শ্রমিক। গত বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা শেষে এমন তথ্য জানান ভালুকা উপজেলা প্রশাসন।

আক্রান্তের সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৪ জুন থেকে উপজেলার গার্মেন্টস গুলোতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেশ বাড়তে থাকে। ওই দিন তিনজন নারী করোনায় শনাক্ত হন। তিন জনই কারখানা শ্রমিক। পরেদিন শুক্রবার উপজেলায় ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যেও ৮ জন পোশাক কারখনার শ্রমিক। তারা সবাই স্কয়ার ফ্যাশন নামের কারখানায় কাজ করেন। পরের দিন শনিবার উপজেলায় ১১ জন শনাক্ত হয়েছেন। ৮ জন পোশাক কর্মী। তারাও এসকিউ,স্কয়ার ফ্যাশন অন্যান্য কারখানার শ্রমিক। গত রোববার শনাক্ত ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। এক দিন পর মঙ্গলবার উপজেলায় সর্বোচ্চ ৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন কারখানা শ্রমিক। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫৪ জনে। এর মধ্যে ৮২জনই কয়েকটি কারখানার শ্রমিক। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ছড়িয়ে পড়ার কারখানার সংখ্যাও।

উপজেলায় প্রথম কোভিট-১৯ এ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয় ১৯ এপ্রিল । এরপর সংখ্যাটি ৫০ ছুতে সময় নেয় ৪৮ দিন। পরের মাত্র তিন দিনেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শনাক্ত হয়েছেন ৫১জন। এর মধ্যে ৩৬ জন পোশাক কর্মী। আর পরের দুদিনে শনাক্ত হয় ৫৩ জন। এদের মধ্যে ৪২ জনই কারখানা শ্রমিক। ঠিকানার অভাবে যোগাযোগ করা যায়নি তিন জনের সঙ্গে।

শ্রমিকদের আক্রান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে স্কয়ার ফ্যাশনের এডমিন মোঃ রফিক বলেন, ঈদের সময়ে শ্রমিকেরা বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে আবার যার যার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এই যাওয়া-আসার মধ্যে হয়ত কিছু শ্রমিক করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এখন প্রতিদিনই পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে আলাদা করা হচ্ছে। তাই আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সংখ্যাটা কমতে শুরু করবে। কারখানার ভিতরে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কাজ করানো হচ্ছে। স্কয়ার ফ্যাশনে সাড়ে ১১ হাজার শ্রমিক দুই শিফটে কাজ করত।এখান সেখানে ৬টি শিফটে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আবাসিক দুই হাজার শ্রমিক রয়েছে। সেখানে কিন্তু একজন শ্রমিকও আক্রান্ত হয়নি। যে ৪০ জন শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সঙ্গে প্রতিদিন দুইবার করে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাসুদ কামাল বলেন,গত দুদিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ জন। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১০ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল নতুন করে ১৮ জন আক্রান্তের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এ ছাড়া প্রায় সবাই শ্রমিক।

তিনি আরও বলেন,কারখানার ভিতরে শ্রমিকদের দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করানোর চেষ্টা করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আসা-যাওয়ার পথে স্বাস্থ্য বিধি মানেননা শ্রমিকেরা। যার ফলে উপজেলার শিল্প কারখানা গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই