তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৌরভ ছড়াচ্ছে বিভাজকের ফুল

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৌরভ ছড়াচ্ছে বিভাজকের ফুল
[ভালুকা ডট কম : ২৮ জুন]
ফুল কে না ভালবাসে, আর যদি ফুলের সৌরভে মুখরিত হয়ে নান্দনিক সৌন্দর্যে চোখ বুলিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া যায় তাহলে তো কথায় নেই। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ দীর্ঘ ৮৭কিলোমিটার মহাসড়কে চলাচল করা যাত্রীরা এখন প্রতিনিয়ত ফুলের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যাতায়াত করছেন।

বর্ষাকে স্বাগত জানিয়ে লাল, নীল, হলুদ, বেগুণী কোথাও বা সাদা ফুলে ব্যস্ততম এই সড়কটি বর্ণিল সাজে সেজেছে এখন। বকুলের ভালবাসা, গন্ধরাজ, বেলী ও কামিনীর উতাল করা গন্ধে যাত্রীদের মধ্যে বয়ে দিয়ে যাচ্ছে এক অন্যরকম ভালবাসার ছোঁয়া।

দেশের অন্যতম লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত প্রায় ৮৭কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করে বর্তমান সরকার। এক লেনের গাড়ীর হেড লাইটের আলো যাতে অন্য লেনে না যায় (দুর্ঘটনা রুখতে) সেই জন্য সড়ক বিভাজকের উপর রোপন করা হয়েছিল ৪০প্রজাতির প্রায় লক্ষাধিক উদ্ভিদ। এদের মধ্যে রয়েছে নীল কাঞ্চন, কামিনী, কৃষ্ণচুড়া, জোগাটগর, রাধাঁচূড়া, অগ্নিস্বর, পলাশ, গৌরিচূড়া, ছাতিম, কনকচাঁপা, কদম, কাঠ বাদাম, জারুল ও রক্তকবরী। এছাড়াও ঔষুধী গাছ হিসেবে রয়েছে নীম গাছ। মহাসড়কে ভ্রমন আনন্দদায়ক পরিবেশবান্ধব করতে ঋতুর সাথে মিল রেখে এসব উদ্ভিদ রোপন করা হয়েছে। সারা বছর জুড়েই এই মহাসড়কের সড়ক বিভাজকের উপর রোপিত বৃক্ষগুলো সৌন্দর্য বা ছায়া বিলিয়ে গেলেও বর্ষায়  নয়নাভিরাম পরিবেশে ভিন্ন আবহ তৈরী হয়।

মহাসড়কে চলাচলকারী আলম এশিয়া পরিবহনের চালক অনিক মিয়া বলেন, ব্যস্তরাজধানী ছেড়ে যখন সবুজের সমারোহে গাড়ী চালাই তখন যেন মানসিক প্রশান্তি খুঁজে প্ইা। বর্ষার নানা ধরনের ফুলের সৌরভ গাড়ীর ভিতরও ছড়িয়ে যায়। এতে যাত্রীরাও পুলকিত হয়ে পড়ে।

গাজীপুরের একজন সমাজকর্মী শাফি কামাল দীর্ঘদিন ধরেই জেলায় পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছেন। তিনি বলেন,পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রায়১৬ফুট সড়ক  বিভাজকের উপর রোপিত উদ্ভিদগুলো প্রকৃতিকে অলংকৃত করেছে। তবে এই মহাসড়কের কয়েক অংশে বর্জ্য অপসারন করায় এমন সৌন্দর্যও বিলীণ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ বিষয়ে কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়ার দাবী তার।

গাজীপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আমাদের সময়কে জানান,পরিবেশ বান্ধব মহাসড়ক ও নিরাপদ,আনন্দদায়ক যাত্রার নিশ্চয়তা দিতে সড়ক বিভাজকের উপর রোপিত উদ্ভিদগুলোকে সারাবছর জুড়েই পরিচর্যা করা হয়।  বিশেষ করে বর্ষায় ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পরে আশপাশে। সবুজের সমারোহে ফুলের ঘ্রানে মুখরিত হয়ে পড়ে এই মহাসড়ক ব্যবহার করা যাত্রীরা।

প্রসঙ্গত রাজধানীর উত্তরের জেলাগুলোর মানুষের রাজধানীর সাথে যোগাযোগ দ্রুততর করতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেয়। ২০১০ সালে এই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭.১৮কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যায় হয়েছিল১ হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।চারটি প্যাকেজে এই প্রকল্পটি তত্বাবধান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি। পরে ২০১৬ সালে এই মহাসড়কের চার লেন উদ্ভোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

পরিবেশ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই