তারিখ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

শ্রীপুরে হামলায় সন্তান সম্ভবা নারী আহত,নবজাতকের মৃত্যু

শ্রীপুরে হামলায় সন্তান সম্ভবা নারী আহত,অপরিণত প্রসবের আট ঘন্টা পর নবজাতকের মৃত্যু
[ভালুকা ডট কম : ০৬ জুলাই]
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় হামলায় আহত ৬ মাসের সন্তান সম্ভবা এক নারী প্রসবের আট ঘন্টা পর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ওই নারীও সংকটাপন্ন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহত নবজাতকের বাবা মোঃ হাছান রবিবার শ্রীপুর থানায় একটি মামালা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন প্রতিবেশী মাইনুদ্দিনের ছেলে এমদাদ, আজাহার, এনামুল, লুতফর, আজাহারের ছেলে জাহিদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কমপক্ষে তিনজন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও তাদের দায়ের করা মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধে ২৯ জুন সোমবার সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে হাছানের বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় হাছানের ৬ মাসের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী সানজিদাকে টানা হেঁচড়া ও লাথি দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর জখম হয়। এসময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে হামলাকারীরা বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সন্তান সম্ভবা নারীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ওই নারীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে ৪ জুলাই শনিবার বিকেল আনুমাণিক ৪টার দিকে সন্তান সম্ভবা নারীর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে স্থানীয় মাওনা চৌরাস্তার একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে নবজতাক প্রসব করেন। নবজাতক ও মা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসক ওই সময়ই তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তাদেরকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়।

মামলার বাদী হাছানের বোন শিরিন আক্তার জানান, হামলার পর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। ওই অভিযোগে শ্রীপুর থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) নাহিদ হাসান বুধবার (১জুলাই) ৪নং অভিযুক্ত জাহিদুলকে আটক করে। আটকের খরচপাতি চাইলে ওই এসআইকে চার হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু থানায় নেয়ার আগেই আটককৃতকে পথিমধ্যে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার কারণ জানতে চেয়ে এসআইকে ফোন করলে তিনি টাকা ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় ওই দিন মামলাটিও রুজু হয়নি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকের মৃত্যুর পর ৫ জুলাই রোববার থানায় পুনরায় লিখিত অভিযোগ করলে মামলা রুজু হয়।

এ ব্যাপারে এসআই (উপ-পরিদর্শক) নাহিদ হাসান বলেন, মামলা না হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অভিযুক্ত জাহিদুলকে জিজ্ঞাাসাবাদ করা হয়েছে। টাকার বিষয়ে তাদের সাথে আমার কোনো কথা’ই হয়নি।

নবজাতক মারা যাওয়ার পর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নিলেও হামলার ঘটনায় অভিযোগ দেওয়ার পরও কেন মামলা রুজু হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, আমি ২ জুলাই এ থানায় যোগদান করেছি। আগের ঘটনা আমি জানি না। যেদিন আমি জানতে পারছি, তখনই আমি মামলা নিয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অপরাধ জগত বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই