তারিখ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকার পোশাক কারখানায় দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

ভালুকার পোশাক কারখানায় দ্রুত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
[ভালুকা ডট কম : ০৮ জুন]
প্রথম ৫০ জন শনাক্ত হয়েছিলেন ৪৮ দিনে। এরপর তিন দিনেই শনাক্ত ৫১ জন। এদের মধ্যে ৩৬ জনই পোশাক কর্মী। মোট শনাক্ত ১০১ জন। এটি ভালুকা উপজেলায় করোনা পরিস্থিতির চিত্র। উপজেলায় কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

নতুন করে আরও ২১জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনই কারখানা শ্রমিক। রোববার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা শেষে এমন তথ্য জানান ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিন।

আক্রান্তের সংখ্যার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলায় প্রথম কোভিট-১৯ এ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয় ১৯ এপ্রিল । এরপর সংখ্যাটি ৫০ ছুঁতে সময় নেয় ৪৮ দিন। পরের মাত্র তিন দিনেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শনাক্ত হয়েছেন ৫১জন। এর মধ্যে ৩৬ জনই পোশাক কর্মী। আর কারখানা এলাকা ও শ্রমিকদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আক্রান্ত হয়েছেন ভালুকা শিল্প পুলিশের ৫ কর্মকর্তা। যার মধ্যে একজন এসআই ও চার এএসআই। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০১ জনে।

রোববার শনাক্ত ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। উপজেলার জামির দিয়ার এলাকার এসকিউ ও স্কয়ার ফ্যাশন নামের কারখানায় চাকরি করেন তাঁরা। এদের মধ্যে ১৫ জন উপজেলায় সিডস্টোর ও জামিরদিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন। আরেক জনের বাড়ি উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নে। এছাড়া তিনজন ত্রিশাল এবং একজন গফরগাও উপজেলার বাসিন্দা। ঠিকানার অভাবে আরেক জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।

এর আগের দিন শনিবার উপজেলায় ১১ জন শনাক্ত হয়েছেন। ৮ জনই পোশাক কর্মী। তারাও এসকিউ ও স্কয়ার ফ্যাশন নামের কারখানার শ্রমিক। এর আগের দিন শুক্রবার উপজেলায় ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যেও ৮ জন পোশাক কারখনার শ্রমিক। তারা সবাই স্কয়ার ফ্যাশন নামের কারখানায় কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার তিন নারী করোনায় শনাক্ত হন। তিন জনই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্কয়ার ফ্যাশন কারখানা কর্তৃপক্ষের মোবাইলে একধিক বার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাসুদ কামাল বলেন, গত তিন দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৫১ জন। উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০১ জনে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ২১ জন আক্রান্তের সবাই কারখানা শ্রমিক। কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে নূন্যতম স্বাস্থ্য বিধি মানেননা শ্রমিকেরা। ফলে উপজেলার শিল্প কারখানা গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ছে ঝুঁকি । সামনের দিনগুলোতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য সবাইকে সচেতন থেকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই