তারিখ : ০৮ মে ২০২৪, বুধবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় প্রচন্ড তাপে জন জীবন বিপর্যস্ত

তাপে পোড়ছে গাছ মাটি
ভালুকায় প্রচন্ড তাপে জন জীবন বিপর্যস্ত
[ভালুকা ডট কম : ২৫ এপ্রিল]
বৃষ্টিহীন আকাশে দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে চলা প্রখর সূর্য রশ্নির তীর্যক তাপদাহ সারা দেশের মত ভালুকার সর্বত্র জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। চারিদিকে শুধু খা খা রোদ্দুর বাতাসে যেন আগুন ছড়াচ্ছে। পশুপাখি গাছের ছায়া ঝোপঝাড়ে আশ্রয় খোঁজতে ব্যস্ত। রাস্তা ঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে খেটে খাওয়া রিক্সা ভ্যান চালক সহ বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষ। যাত্রী না থাকায় দুপুড় রোদে রিক্সার ছাউনি উঠিয়ে অলস সময় পার করছেন।

প্যাডেল রিক্সা চালক এলাহি মিয়া জানান পেটের টানে রোদ মাথায় নিয়ে রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন ছেলে মেয়ের মুখের খাবার যোগাতে। দোকান পাট ও বিভিন্ন সপিংমলে ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কমে হেছে বলে দোকানীরা জানিয়েছেন। প্রচন্ড গরমে অনেকেই পিপাসা নিবারণের জন্য ভীড় করছেন রাস্তার ধারে আঁখের রসের দোকানে। ৬২ বছর বয়সী কাঠালী গ্রামের ওমর ফারুক মিয়া ২০ টাকা দিয়ে এক গ্লাস আঁখের রস কিনে পান করছিলেন। তিনি জানান রোদের তাপে তৃঞ্চায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছে । জীবনে কখনো এমন খড়া তিনি দেখেননি। রস বিক্রেতা আহাসানুল মিয়া জানান কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পরায় তার বিক্রি অনেক বেশী হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে লাগাতার তাপদাহের কারনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারনে অধিকাংশ সাব মার্সিবল পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসা বাড়ীতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তায় হাটতে গেলে বাতাসে তাপ এসে শরীরে জ্বালা ধরায়। প্রচন্ড তাপের কারনে শ্রমিকরা বোরো ধান কাটতে পারছেননা। গরমের কারনে লোকজন নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রন্ত হচ্ছে। অপরদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন মরার উপর খাড়া ঘা। দিনরাত যখন তখন লোডশেডিং দেয়ার কারনে বাসা বাড়ীতে মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। হিট এলার্ট জারির পর হতে সবাই হিটষ্ট্রোক আতংকে রয়েছেন।

এদিকে ২৪ এপ্রিল বুধবার ভালুকা মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ ভালুকার বিভিন্ন সড়কে রিক্সা ও অটো চালকদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন। এ সময় তিনি প্রচন্ড তাপে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

গরম থেকে সস্থি পেতে ওর স্যালাইন বেল, লেবুর শরবত, আঁখের রস পান করে অনেকেই তৃঞ্চা নিবারণ করছেন। অভিজ্ঞরা বলছেন ভালুকায় বছরের পর বছর ভূমি খেকোরা নির্বিচারে বনের বৃক্ষ নিধন ও জলাশয় ভরাট করার কারনে অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পে আদ্রতা কমে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে নেমে এসেছে অনাকাংখিত মহা দুর্যোগ। এলাকার মানুষ এক ফোটা বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করছেন কখন বর্ষণ হবে রহমতের বৃষ্টি।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই